31 August 2012 - 0 comments

জুয়ারী

জুয়ারী ১
পথিক পরদেশী


জুয়ার নেশায় ডুবে গেলে, হিতাহিত জ্ঞানগুলো বোধ হয় কোন মানুষেরই থাকে না।

শাহেনশাহ পেশাদার জুয়ারী। খুব আগ্রহ করেই তার সাথে জুয়ায় জিততে চায় অনেকে। কারন, সবাই জানে শাহেনশাহ এর যেমনি প্রচুর ধন সম্পদ, ঠিক তেমনি, কথার বরখেলাপও কখনো সে করে না। অন্য কথায় এক কথার মানুষ। ঠোট থেকে একবার কোন একটা কথা বেড়িয়ে গেলে, সেটার বাস্তবায়ন করে সে ছাড়েই। এমন একজন নির্ভেজাল জুয়ারীর সাথে জুয়া খেলে কেই বা মজা না পায়!
জুয়ার আড্ডাটা প্রতিরাতে, শাহেনশাহর বিশাল বাড়ীটাতেই বসে।
একা মানুষ শাহেনশাহ। তার সমস্ত দেখা শুনা করে, সামিয়া। বলা যায় তার একান্ত দেহরক্ষী। বয়স বুঝা যায়না। খুব সুন্দরীও বলা যাবে না। তবে, কথায় খুব পটু, বুদ্ধীমতী। দেহরক্ষী বলতে, গভীর রাতে বিছানাতে শাহেনশাহর পুরু দেহটারও দেখাশুনা করে থাকে, সামিয়া। যৌনতার অনেক কলা কৌশলও তার জানা।
সামিয়া সত্যিই চটপটে ধরনের বুদ্ধিমতী মেয়ে। ধরা যায়, সামিয়া আছে বলেই শাহেনশাহের জুয়ার বুদ্ধিগুলো যেমনি বাড়ছে, তেমনি পদ্ধতিগুলোও বদলে যাচ্ছে দিন দিন। সেই সাথে নুতন নুতন জুয়ারীরাও ভীর করছে তার আড্ডা ঘরে, জুয়ার নেশায়।
আতিক মনসুর, পাকা জুয়ারী। শাহেনশাহ এর নামও তার জানা। অনেক দিনের শখ, একবার শুধু শাহেনশাহ এর সাথে জুয়ার আড্ডায় বসা। জুয়ারীদের মাথায় যদি, একবার নেশার ভুতটা চাপে, তাহলে তো আর হুশ থাকে না। সে এক সন্ধ্যায় ছুটে গেলো শাহেনশাহ এর বাড়ী। আলাপ হলো সামিয়ার সাথেই। সামিয়া শুরুতেই বললো, জুয়া খেলতে চান, পাত্তি আছে?
আতিক মনসুর বললো, জী, বড় বড় জুয়ার আড্ডায়ও খেলেছি। এখন পর্যন্ত টাকা পয়সার সমস্যায় পরিনি।
সামিয়া বললো, আরে, সেই পাত্তি না! পাত্রী! শাহেনশাহ এর জুয়ার আড্ডায় বসবেন, যুবতী পাত্রী সংগে না আনলে তো জুয়া চলে না।
আতিক মনসুর বললো, মানে?
সামিয়া বললো, দিন বদলেছে, জুয়ার ধরনও বদলেছে। টাকা পয়সা দিয়ে জুয়া খেলার দিন কি আর আছে নাকি? এখন জুয়া চলে, নরোম মাংসের দেহ নিয়ে। যুবতী বউ কিংবা যুবতী মেয়ে ঘরে থাকলেই এই আসরে জুয়া খেলা যাবে। ওরকম কেউ ঘরে আছে?
আতিক মনসুর হঠাৎই যেনো বোকা বনে গেলো। বউ, মেয়ে বাজি রেখেও জুয়া খেলার মতো জুয়ারীদের কথা, সেও জানে। জুয়ার আড্ডায় হেরে গিয়ে, নিজেকে গুটিয়ে নেবার সময়, অনেকেই তার সুন্দরী দুই মেয়ে রূপা আর কনার ইশারাও করেছে। অথচ, আতিক মনসুর কখনো অতটা বেহুশের মতো, জুয়া খেলেনি। কিন্তু, শাহেনশাহ এর জুয়ার আড্ডায় বসার দীর্ঘ দিনের শখ তার। নইলে, জীবনে মস্ত বড় একটা শখই তার অপূর্ণ রয়ে যাবে। আতিক মনসুরের জুয়া ভাগ্যও ভালো। বরাবরই জিতে এসেছে। তার ধারনা, শাহেনশহ এর জুয়ার আসরেও সে জিতবেই। মিছে মিছি, নিজ মেয়েদের বাজী করেও, একবার খেলতে মন্দ কি? সে আমতা আমতা করেই বললো, জী আছে!
সামিয়া ঠাণ্ডা গলাতেই বললো, তাহলে সংগে নিয়ে আসুন। রাত আটটায় প্রতিদিন জুয়ার আড্ডা বসে। তবে, আগামী রবিবার স্পেশাল জুয়ার আয়োজন। সংগে একজন থাকলে, এক কোটি টাকার বাজী, আর দুজন থাকলে বিশ কোটি টাকার বাজীর আসরে বসতে পারবেন।
আতিক মনসুর খুব ভাবনায় পরে গেলো। জুয়া খেলবে, সংগে মেয়েদের আনতে হবে কেনো? হারলেই না, উপায় থাকবেনা বলে, কিছু একটা না হয় করতে হতো! সে বললো, সংগে না আনলে কি খেলা যাবে না?
সামিয়া বললো, স্যরি, এরকম অনেক জুয়ারী পালিয়েছে, এই বাড়ীর জুয়ার আসরে ফাঁকিবাজি চলে না।
সামিয়া একটু থেমে বললো, আর শুনেন, ভাড়া করা, পাতানো বউ মেয়ে, এদের আনা চলবে না। সাবধান! তাহলে, নগদ আসর ফি দিয়েই জুয়াতে বসতে হবে, অফেরৎযোগ্য! এক লক্ষ টাকা! তবে, আগামী রবিবার বিশ কোটি টাকার আসরও আছে, জিততে পারলে বিশ কোটি টাকা আপনার!
আতিক মনসুর হঠাৎই বদলে গেলো। সে জানে, শাহেনশাহ এর জুয়ার আসরে, এক রাত বসেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে অনেকেই। শুধুমাত্র নিজ বউ কিংবা মেয়েদের বাজী করে। তার বদলে নগদ আসর ফিও দিতে হয় না। তার সুন্দরী মেয়ে দুটিকে এই আসরে আনার একটা বুদ্ধি করতেই পারলেই হয়। সে বললো, ঠিক আছে, রবিবারই আসবো।
(চলবে)
Penny Mathis Action Girls

0 comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...