28 August 2012 - 0 comments

অভিশপ্ত অতীত (১ম পর্ব)

প্রথমালোতে ছবি দেইখা নীতু জিগায়, তোরা জুইরে কেমনে চিনলি
আমি কইলাম, সে আর বলিস না, এক বিরাট ইতিহাস
- শুনি তো? এক কলেজে একই ব্যাচে পড়েছি আমি চিনি না,
তোরা এত পরিচিত হয়ে গেলি কিভাবে
ঘটনাটা মনে হইলে আমি নিজেও কনফিউজড হইয়া যাই।
ঢাকায় বাসা থাকার পরও হলে সীট দখল কইরা রাখছিলাম আমি। রুমমেট একবছরের বড় শিমুল ভাই, উনার দোয়ায় অনেক বাধাবিঘ্ন ছাত্রদল ছাত্রলীগ পার হইয়া দখল রাখা সম্ভব হইছিলো। সেই উনার দাদা (বড় ভাই না, বাপের বাপ = দাদা) অসুস্থ হইয়া গেল। শিমুলে আবার ঐ সময় একগাদা ক্লাশমেট মেয়ে সহ দলবল লইয়া নেপাল ট্যুরে যাইতেছিল। কইয়া গেল,
সুমন দাদারে দেখিস, তেমন কিছু করতে হইবো না, তিনচাইর দিন পরপর মুখ দেখাইলেই চলবো।।
আমার দাদা যেমন পচাশি ছাড়াইছে, সেই তুলনায় লোকটারে যেদিন দেখতে গেলাম বেশ তাজাতুজা মনে হইতেছিল। পচাত্তর হয়তো হইছে।
শিমুল ভাই নেপাল ট্যুরে যাইতেছে কইয়া গেছে লাগলে সাহায্য করতে। এইখানে পড়তে আইসা এই একটা বড় সমস্যা। মানুষে আকছার অসুস্থ হয় আর হইলেই ডাক পড়ে। পাশ কইরা বাইর হইলে কত বিরক্ত করবো ভাবতেছবুইড়ার গল ব্লাডারে অপারেশন হইছে, আরো নানা সমস্যা আছে, কয়েক ব্যাগ রক্ত লাগছিলো সন্ধানী থিকা জোগায়া দিলাম। শাহবাগে ঘুরতে আইসা শুভরে কইলাম, একবার দেখা দিয়া যাই, এতদিনে সুস্থ হইয়া গেছে হয়তো। এদের কেবিনে সবসময় লোকজনের ভীড়। বিকালে একটা দরবার বসে, রাজ্যের নানা ঝামেলা নিয়া আলোচনা হয়। মোস্টলী এদের ফেমিলি রিলেটেড সমস্যা। লোক আসে, লোক যায়, অনেকে থাকেও।
গিয়া দেখি দশফিটের কেবিনে পনের বিশ জন লোক, জায়গা না হইয়া বাইরে লম্বা বারান্দাতেও কয়েকটা গ্রুপ হইয়া কথা চলতেছে।
ভীড় ঠেইলা ভিত্রে গিয়া পরিচিত মুখ খুজতেছি। দাদী সাহেবারে দেইখা কইলাম, কেমন আছে, দাদার শরীর কেমন?
- দাদায় তো শরীরে সুস্থ হইতেছে, কিন্তু মনে অসুস্থ
- শরীর সুস্থ হলে তো ভালো, কোন কিছু লাগবে? গত কয়েকদিন বিজি ছিলাম আসতে পারি নাই
- না না, কষ্ট কইরা আজকে আসছো সেইটাই তো অনেক। তোমরা অনেক উপকার করলা বাবা
এরম সময় শিমুলের বড় ভাবী আইসা বললো, কেমন আছো সুমন, শুভ?
- এইতো চলে যাচ্ছে
- ক্লাশ তো বন্ধ, কি কর তাহলে
- ক্লাশ বন্ধ হলেও কাজ তো বন্ধ হয় না, টিউশনি করি, অন্যান্য কাজও আছে
এদিকে দরবারওয়ালারা ক্রমশ কথাবার্তার বেগ বাড়াইতেছে। জমি জমা নিয়া সমস্যা মনে হয়। বুইড়া এই গ্যাঞ্জামে যে হাসফাস কইরা ঘুমায় সেইটাই আশ্চর্য। ভাবী বাইরে নিয়া গেল আমাদের, কইতেছে, ওনার একটা রিপোর্ট পেন্ডিং আছে ডিএমসির ল্যাবে, একটু আইনা দিতে পারুম কিনা। সাধারনত ফুটফরমাইশের কাম শুনলে রাজী হইতে চাই না। জাস্ট ভাবীর চেহারাটা ভালো হওয়ায় কইলাম, ঠিকাছে কালকে নিয়ে আসব।
বোন টেস্টের রিপোর্ট বাইর করতে সকালটা নষ্ট হইলো। এগারোটার দিকে ক্যাম্পাসে ফিরা শুভর লগে দেখা। ও জিগাইতেছে, গেছিলি শিমুলের ভাবীর রিপোর্ট লইয়া
- আর রাখ শালা রিপোর্ট। তিন ঘন্টা নষ্ট এইটার লাইগা, দেখি বিকালে যাইতে পারি
- এখন চল, আমি চারুকলায় যাইতেছি
- কেন?
- গেলেই দেখবি
Courtney Cass Nude 1

0 comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...