31 August 2012 - 0 comments

জুয়ারী ৯



জুয়ারী ৯
পথিক পরদেশী




এবার ওসমান ফারুকের পালা। সামিয়া হার্ডবোর্ডের পেছনে, মেয়েদের স্থান খানিকটা অদল বদল করেই ওসমান ফারুককে ডাকলো। তারপর, মেয়েদের আংশিক নগ্ন দেহ, বক্ষ আর নিম্নাংগ পর্য্যবেক্ষন করার জন্যেই অনুরোধ করলো ওসমান ফারুককে।
বাড়ীতে লিপি প্রায়ই পাতলা ধরনের পোষাকও পরে। মাঝে মাঝে পাতলা পোষাকের আড়ালে লিপির দেহের গড়নটাও অনুমান করা যায়। অথচ, চার জোড়া নগ্ন বক্ষ দেখে কিছুই অনুমান করতে পারলো না ওসমান ফারুক। সবার বক্ষই সুঠাম সুদৃশ্য, সুডৌল বৃহৎ! ওসমান ফারুকের আত্মবিশ্বাসটা যেনো মুহুর্তেই নষ্ট হয়ে গেলো। সেই সাথে এক রকম গোলক ধাঁধাতেই পরে গেলো। সামিয়া বললো, কি ব্যাপার, অনুমান করতে পারেন, কোনটি আপনার মেয়ে হতে পারে?
ওসমান ফারুক নিরূপায় হয়েই বললো, নাহ, মোটেও অনুমান করতে পারছিনা!
সামিয়া বললো, নিজ মেয়ের নগ্নদেহ সর্বশেষ কবে দেখেছেন?
ওসমান ফারুক আমতা আমতা করেই বললো, কম বেশী তো প্রতিদিনই চোখে পরে!
সামিয়া অবাক হয়ে বললো, মানে?
ওসমান ফারুক বললো, না মানে, আমার মেয়ে লিপি, পোষাকের ব্যাপারে বরাবরই খানিকটা অসচেতন! তাই মাঝে মাঝে চোখে পরে যায়! এই আর কি!
সামিয়া বললো, তাহলে তো, শুধুমাত্র বক্ষ দেখেই চিনা যাবার কথা!
ওসমান ফারুক বললো, আমিও সেরকম মনে করেছিলাম। কিন্তু ডি স্তম্ভ আর বি স্তম্ভের মেয়ে দুটির বক্ষের প্রচণ্ড মিল! আবার হঠাৎ দেখলে সি স্তম্ভের মেয়েটার বক্ষও লিপির বক্ষের মতোই মনে হয়!
সামিয়া বললো, তাহলে ছুয়ে দেখেন!
ওসমান তখন ডি স্তম্ভের পেছনে দাঁড়ানো লিপির সামনেই ছিলো। অবাক হয়ে বললো, ছুয়ে দেখবো? এদের মাঝে নিজ মেয়েটিও তো আছে।
সামিয়া ওসমানের হাত দুটি ধরে, লিপির বক্ষে চেপে ধরে বললো, হুম, এভাবে ছুয়ে, ধরে দেখেন। তখন অনুমানটাও ভিন্ন মনে হবে! দেখা আর ধরার মাঝে অনেক পার্থক্য! আপনি তো জেনে শুনে নিজ মেয়ের স্তন ছুয়ে দেখছেন না।
হার্ডবোর্ডের পেছনে, বক্ষে বাবার হাতের স্পর্শটা পেয়ে লিপি বেশ অস্বস্তিই বোধ করতে থাকলো। মনে হতে থাকলো, সামিয়া ইচ্ছে করেই তার বাবাকে বাধ্য করছে, বক্ষ ধরার জন্যে! অথচ, বাজীর খেলাতে, মুখ দিয়ে কোন শব্দও বেড় করতে পারছিলো না। ওসমান ফারুক, লিপির নরোম সুদৃশ্য বক্ষ গুলো টিপতেই বললো, এভাবে ধরবো?
লিপি আড়াল থেকেই মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে, নিশব্দে বলতে চাইলো, না বাবা, না!
সামিয়া বললো, হুম, ভালো করে ধরে ছুয়ে, পর্য্যবেক্ষন করেই যাচাই করে নিন, কোনটা নিজের মেয়ে!
ওসমান ফারুকও এক এক করে প্রতিটি মেয়ের বক্ষ, ছুয়ে, ধরে, টিপে টিপে পর্য্যবেক্ষন করতে থাকলো। কোন একটি মেয়েও, কোন রকমের অনুভুতি প্রকাশ কিংবা শব্দ পর্য্যন্তও করলো না। সামিয়া বললো, কিছু অনুমান করতে পারলেন?
ওসমান ফারুক বললো, হুম, এখনো কিছু অনুমান করতে পারছি না। যতদূর মনে হচ্ছে, বি ই হবে! তবে, সি এর মেয়েটিও কম সন্দেহজনক নয়!
jennifer hurt cyber girl of the month
সামিয়া বললো, তাহলে বলতে চাইছেন, বি অথবা সি এর পেছনেই আপনার মেয়ে! ঠিক আছে, আরো নিশ্চিত হবার জন্যে, নিম্নাংগগুলোও কি একবার পর্য্যবেক্ষন করে দেখবেন?
ওসমান ফারুক বললো, হুম, তা ঠিক বলেছেন। আমার মেয়ের নিম্নাংগ ঘন কালো কেশে ভরপুর! খানিকটা কোঁকড়ানো!
এই বলে ওসমান ফারুক হাঁটু ভেঙ্গে বসে, মেয়েগুলোর নিম্নাংগই পর্য্যবেক্ষন করে দেখতে থাকলো। সে অবাক হয়েই দেখলো, বি স্তম্ভের মেয়েটির নিম্নাংগ কামানো। এটা কিছুতেই লিপি হতে পারে না। লিপি কখনোই তার সুদৃশ্য যোনী কেশগুলো কামিয়ে ফেলতে পারে না। সে খানিকটা নিশ্চিত হয়েই বললো, না, আমার অনুমান ভুল! বি আমার কন্যা নয়!
সামিয়া বললো, তাহলে কি ধরে নিতে পারি, সি ই আপনার কন্যা?
ওসমান ফারুক সি স্তম্বের মেয়েটির নিম্নাংগ পর্যবেক্ষন করতে গিয়ে, পুনরায় গোলক ধাঁধায় পরে গেলো। এই মেয়েটির বক্ষের সাথে লিপির বক্ষের মিল থাকলেও, নিম্নাংগের কেশে তেমন একটা মিল খোঁজে পেলো না। সে এ স্তম্ভের মেয়েটির দিকেই এগিয়ে গেলো। সেই ফাঁকে সামিয়া, ডি স্তম্ভের লিপির মুখের সামনের পর্দাটা সরিয়ে, লিপিকে ইশারা করলো, তার বাবার গতিবিধি দেখতে। লিপি মুচকি মুচকি হেসে, খুব আগ্রহের সাথেই বাবার গতিবিধি পর্য্যবেক্ষন করতে থাকলো।
লিপি তার বাবাকে জানে। ভালো মাগীবাজ বলেই পরিচিত! সে মুনার কঁচি যোনীটাই খুব ভালো করে পর্য্যবেক্ষন করে, বিড় বিড় করে বলতে থাকলো, লিপির যোনীকেশের সাথে প্রচণ্ড মিল!
এই বলে, মেয়েটির বুকের দিকে তাঁকানোর জন্যে মাথাটা তুলতে চাইছিলো। সামিয়া লিপির মুখের সামনের পর্দাটা নামিয়ে দিয়ে, ওসমান ফারুককে লক্ষ্য করে বললো, যোনীটাও ধরে দেখেন! নিজ মেয়ে আর অন্যের মেয়ে একই রকম অনুভুতি প্রকাশ করার কথা নয়!
ওসমান ফারুক বি স্তম্ভের মেয়েটির বক্ষও পুনরায় পর্য্যবেক্ষন করলো। কেনো যেনো হঠাৎ বক্ষ যুগলও লিপির বক্ষের মতোই মনে হলো! সে মেয়েটির যোনীটা স্পর্শ করতে করতে বললো, দুঃখিত মা! যার মেয়েই হও, কিছু মনে করো না! আমাকে ক্ষমা করে দেবে!
ওসমান ফারুক মেয়েটির যোনী পাপড়ি দুটি ছড়িয়ে গন্ধও নেবার চেষ্টা করলো। সামিয়া বললো, কেমন গন্ধ!
হুম, বউয়ের সাথে এই মেয়ের যোনী গন্ধেরও একটা মিল আছে কিনা দেখতে চাইলাম। কিন্তু, বুঝতে পারছিনা এখনো!
সামিয়া বললো, সি এর মেয়েটা তো নিশ্চিত! আপনার মেয়ে নয়! কারন কেশ কামানো। বি ও আপনার মেয়ে নয়! তাহলে ডি এর মেয়েটাকেও একবার ভালো করে দেখবেন?
ওসমান ফারুক ডি স্তম্ভের লিপির সামনেই হাঁটু গেড়ে বসলো। অবাক হয়ে দেখলো, প্রচণ্ড মিল লিপির নিম্নাংগের কেশের সাথে! ওসমান ফারুক যেনো পুনরায় গোলক ধাঁধায় পরে গেলো। সামিয়া একটা ভাইব্রেটর ওসমান ফারুকের চোখের সামনে তুলে ধরে বললো, এটা একবার চালিয়ে দেখবেন?
ওসমান ফারুক অবাক হয়েই বললো, কি এটা?
সামিয়া বললো, এটা হলো ভাইব্রেটর! মেয়েদের যোনীতে ঢুকিয়ে, সুইচটা টিপে ধরলেই ভাইব্রেশন শুরু হয়! এতে করে মেয়েদের যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি হয়! আমাদের এখানকার খেলার ধরনই এমন। অংশগ্রহনকারী মেয়েদের বাবারা, মেয়েদের দেহের বিভিন্ন অংগ দেখে, ধরে, যৌন উত্তজিত করে হলেও, নিজ মেয়েকে চিনে নেয়া!
ওসমান ফারুক ভাইব্রেটরটা হাতে নিয়ে, ইতস্তত করতে থাকলো! সামিয়া বললো, এখনো তো অনুমান করতে পারছেন না, কোনটা নিজ মেয়ে! যদি অনুমান হয়, এটা আপনারই মেয়ে, তাহলে করবেন না! যেটা আপনার মেয়ে নয়, তাকে করলে তো আপত্তি নেই! কি বলেন? নাকি সারেণ্ডার!
ওসমান ফারুক বললো, না, ঠিক আছে, একবার এই মেয়েটাকেই করে দেখি।
(চলবে)

0 comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...