জুয়ারী ৫
পথিক পরদেশী
ওসমান ফারুক, শিল্পপতি। তবে, একজন যৌন পাগলা ধরনেরই মানুষ। মদের নেশা আর মাগীবাজী করে অনেক টাকা পয়সাই নষ্ট করেছে। তার বউটা যেমনি সেক্সী, এক মাত্র মেয়ে লিপিও দিন দিন গায়ে গতরে বেড়ে উঠে, অপূর্ব সুন্দরী আর যৌন বেদনাময়ী হয়ে উঠছে।
ঘরে বাইরে, অধুনিকা বউটা যেমনি সংক্ষিপ্ত যৌন বেদনায় ভরপুর পোশাকে চলাফেরা করে, মেয়েটাও ঠিক মায়ের মতোই হয়েছে। মাঝে মাঝে বাপ হয়েও মেয়েটার ভরাট বক্ষ কিংবা পাছাটা দেখার লোভ সামলাতে পারে না। আড় চোখে দেখে ঠিকই, তবে যৌনতা নিয়ে কখনোই ভাবেনি।
লোভ যেমনি মানুষকে নষ্ট করে, মদের নেশাও মানুষকে অমানুষও করতে পারে। তা ছাড়া ওসমান ফারুকের সাথে, বউ মেয়ের সম্পর্কটাও বন্ধুর মতোই। ইউনিভার্সিটি সেকেণ্ড ইয়ারে পড়া লিপিও অনেক বালক বন্ধু জুটিয়ে নিয়েছে। মাঝে মাঝে সেসব বন্ধুদের নিজ বাড়ীতেও নিয়ে আসে। নিজ ঘরে দরজা বন্ধ করে, কি সব করে, তা বোধ হয় কারোরই বুঝতে অসুবিধা থাকার কথা নয়। ওসমান ফারুকও বুঝে। কিন্তু, যৌবনে পা দেয়া মেয়েকে কিছু বলতেও পারে না। কারন, নিজেও একজন মাগী বাজ! তারপরও বাবার দায়ীত্ব তো থাকেই। সেদিন, একটি ছেলেকে বিদায় দেবার পরই ডাকলো মেয়েকে। বললো, এভাবে প্রতিদিন ছেলে যে বদলাও, সেটা কি ঠিক?
লিপি তার পাতলা নাইলনের সেমিজটার তলায় সুডৌল বক্ষ দুটি উঁচিয়ে ধরেই বললো, একটি ছেলে আর আমার পেছনে কত পয়সা ঢালতে পারবে! ছেলে বদলানোটাই তো বুদ্ধিমতীর কাজ! তুমি তো আর আমার খরচের টাকা দিতে পারো না।
ওসমান ফারুক বললো, কিন্ত, লোকে তো মন্দ বলবে!
লিপি বললো, তোমাকেও তো লোকে মন্দ বলে, কই মাগীবাজি তো ছাড়তে পারছো না। তুমি হলে কাকের মতো। চোখ বন্ধ করে রাখলে মনে করো, তোমাকে বুঝি আর কেউ দেখছে না। আসল খবর কিন্তু সবাই জানে!
ওসমান আর কথা বলতে পারলো না। লিপি নিজে থেকেই বললো, আগামী সপ্তাহে আমার দু লাখ টাকা লাগবে। দিতে পারবে তো?
ওসমান চোখ কপালে তুলে বললো, দু লাখ টাকা? এত টাকায় কি হবে?
লিপি বললো, বন্ধু বান্ধবীরা সবাই সিংগাপুর ট্যুরে যাবে। আমিও যাবো বলে কথা দিয়েছিলাম। টাকা দিতে পারলেই, আমাকে ধমকে কথা বলবে। নইলে, ওসব আমাকে বলে লাভ নাই। আমি অন্য পথই দেখবো।
ওসমান অসহায় গলাতেই বলতে থাকলো, আসলে, ব্যবসা খুব ভালো যাচ্ছে না। ব্যংক লোনের উপরই ব্যবসাটা শুরু করেছিলাম। কিন্তু দিন দিন সুদ বাড়ছে, পরিশোধ হচ্ছে না। কয়েক মাসের মাঝেই, শিল্প কারখানা সব নিলামে উঠবে। এত টাকা এখন কোথায় পাবো!
লিপি বললো, আমার কাছে বুদ্ধি আছে। শাহেনশাহ! এক কোটি টাকা যদি জিতেই যাও, তাহলে, আমাকে শুধু দু লাখ দিলেই চলবে। বাকী টাকা তোমার!
ওসমান বললো, কিন্তু! তোমার মা জানলে!
লিপি মুচকি হেসে বললো, কিচ্ছু জানবে না। এটা শুধু তোমার আর আমার মাঝেই চাপা থাকবে।
ওসমানও যেনো খানিকটা স্বস্তি খোঁজে পেলো।
(চলবে)
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment