25 June 2012 - 0 comments

মোহনা ১

সিকদার অনি

মোহনা ছোট খালার একমাত্র মেয়ে। বয়স পনেরো কি ষোলো। ক্লাশ টেনে পড়ে। নদী আর সমুদ্রের মোহনা কতটা উত্তপ্ত, কতটা অশান্ত আমার জানা নেই। তবে, মোহনাকে দেখা মাত্রই বোধ হয়, সব ছেলেদের মন যেমনি অশান্ত হয়ে উঠার কথা, ঠিক তেমনি দেহের রক্তের শিরায় উপিশরায়, বিচ্ছৃংখল ঢেউয়ের সমাহার হয়ে হয়ে, লিঙ্গের চূড়াতেই হস্তের মোহনা খোঁজে পাবার অবকাশ পাবার কথা।
বসার ঘরে ঢুকে, মেঝেতে বসা মোহনাকে দেখে, সত্যিই বোকা বনে গেলাম। মোহনা যদিও খুব সহজভাবেই কথা বলছিলো, আমি অতটা সহজ হতে পারলাম না। কেনোনা, ঘরে মোহনার পোষাক অস্বাভাবিক ধরনের সংক্ষিপ্ত! নিম্নাংগে অত্যাধিক খাট হালকা গোলাপী রং এর হাফ প্যান্ট! ফোলা ফোলা ফর্সা উরু দুটুই নয় শুধু, টাইট হাফপ্যান্টের ভাঁজে নিম্নাংগের অবস্থানও অনুমান করার মতো। আর উর্ধাংগে, ছেলেদের মতোই স্যাণ্ডো গেঞ্জির মতোই টাইট সেমিজ। যা তার বক্ষের আয়তনই শুধু নয় আকৃতিও প্রকাশ করে রাখে।
মোহনার বক্ষের আয়তন খারাপ নয়। তার ছোট্ট দেহটাতে বক্ষ দুটি যেনো হঠাৎই বৃদ্ধি পেয়ে দিশেহারা হয়ে, ছোটখাট কঁচি দুটি ডাবেরই আয়তন পেয়েছে। কঁচি ডাবের মতোই সুঠাম, তেমনি অগ্রাংশ কঁচি ডাবের মতোই যেনো খানিকটা চৌকু। সেমিজের তলায় গাঢ় খয়েরী রং এর বৃন্তটা সহ স্ফীত বৃন্ত প্রদেশও আবছা আবছা চোখে পরে। এমন বক্ষ যার বুকে, তার এমন সংক্ষিপ্ত পোষাক পরা, কতটা উচিৎ তা আমার জানা নেই। তবে, ছোট খালার একটি ছেলে সন্তানের শখ ছিলো বলেই, ছোটকাল থেকে মোহনাকে ছেলেদের পোষাকেই বড় করেছে। তাই ঘরে বাইরে মোহনার পোষাক গুলো যেমনি ছেলেদের মতো, চুলগুলোও ছেলেদের মতো খাট! তবে, চেহারা দেখে আগুনে ভরপুর একটা যৌন বেদনাময়ী মেয়ে ছাড়া অন্য কিছু মনে হয় না।

সেবার হঠাৎ করেই বদলীর অর্ডারটা চলে এসেছিলো।
বদলীর ব্যাপারগুলো সত্যিই ঝামেলার। অথচ, আমি মন খারাপ করলাম না। হাসি মুখেই অর্ডারটা বরন করে নিলাম। বিদায়ের ব্যাপারগুলো কষ্টেরই থাকে। তবে, আমার কষ্ট হলো না। কেনোনা, সেকেণ্ড বস,বিগ বস দুজনের সাথেই দীর্ঘদিন ধরে, রেষারেষিরই একটা সম্পর্ক ছিলো। প্রকৌশলী হয়েও সেলস অফিসে বদলী হতে একটুও দ্বিধা করলাম না আমি। সেলস অফিসের সহকারী ম্যানেজার আমার পূর্ব পরিচিত। সেইহিসেবে, কাজের ধরন যাই হউক না কেনো, অন্তত প্রাণ খুলে কথা বলা যাবে, সেটাই ছিলো একমাত্র ভরসা।

১৫ই অক্টোবর, ২০১১ সাল।
নুতন এক শহর, শরৎগঞ্জ। শরৎগন্জে এসে প্রথম যে সমস্যাটায় পরেছিলাম, তা হলো একটি বাসা নিয়ে। জীবনে প্রথম শরৎগন্জ! ছোট খালার বিয়ের পর থেকেই শরৎগন্জের পাশের শহরেই থাকতো। অথচ,কখনো যাওয়া হয়নি। তাকেই বলেছিলাম একটা বাসা ঠিক করার জন্যে।

ছোট খালা কলেজ শিক্ষিকা। ধরতে গেলে শৈশবেই শেষ বারের মতো দেখেছিলাম। মায়ের মৃত্যুর পর পরই বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো। দূরের শহরে চলে গিয়েছিলো বলেই যাতায়াত হতো না। যোগাযোগ যা হতো, চিঠিতে! ইদানীং মোবাইলে। কেনোনা, মাতৃহীন আমি শৈশব থেকেই একা একা বসবাস আর এখানে সেখানেই জীবন কেটেছে। তাই, আমার যেমনি ছোট খালার বাসায় যাওয়া হয়নি, ছোট খালাও বিয়ের পর নিজ সংসার সহ,এটা সেটা ঝামেলার কারনে, আমাকে দেখতে আসার সুযোগ হয়নি। সেই খালা ঠিক আমার বদলী হয়ে আসার আগের দিনই জানালো, ব্যাস্ততার মাঝে সময় করে বাসা খোঁজাটা হয়ে উঠেনি। আপাততঃ আমি যেনো তার বাসাতেই থাকি। মদনগন্জ থেকে শরৎগন্জ কতই বা দূর? বাসে ঘন্টা খানেকের পথ! আমি যেনো নিজের বাসা নিজেই খোঁজে বেড় করি, সেই পরামর্শই দিলো।

ছোট খালার সাথে আমার বয়সের ব্যাবধান দশ। ছোট খালার বয়স সাত্রিশ হলেও দেহ ও ত্বকের এমনি যত্ন নেয় যে, দেখে কখনো সাত্রিশ বলে মনে হবে না। বরং, তার বড় মেয়ে ষোল বছর বয়সের মোহনা যখন পাশাপাশি দাঁড়ায়, দু বোন বলে ভুল করার সম্ভাবনাই অনেক বেশী। শুধু তাই নয়, প্রথম যখন ছোট খালার বাসায় এলাম, তখন দরজাটাও ছোট খালা নিজেই খুলেছিলো। ছোট খালাও কম নয়। নিজ বাসার ভেতরে, এমন একটা বয়সেও নিজ দেহটাকে খুব একটা লুকিয়ে রাখার কথা হয়তো ভাবেনা। খালার পরনের পোষাকের দশা দেখেও, লজ্জায় সরাসরি তার চোখে তাঁকাতে পারিনি। ছেলেমেয়েরা তো মা বাবাকেইঅনুসরন করে। তাই মোহনাকে আর দোষ দিয়ে লাভ কি?

মোহনা আমাকে থাকার ঘরটা দেখিয়ে বললো, এটা আমারই ঘর। কয়েক রাতের জন্যেই নাকি থাকবেন, তাই ছেড়ে দিলাম।
আমি বললাম, মানে? তাহলে তুমি থাকবে কোথায়?
মোহনা বললো, কেনো, এখানেই!
তাৎক্ষনিকভাবে কি বলবো কিছুই বুঝতে পারলাম না। মোহনার ঘরটা খুব ছোট না হলেও, খাটটা সাংঘাতিক ছোট। সিংগল খাট বলা যাবেনা, তবে ডাবলও না। মেয়ে মানুষ দুজন কিংবা ছেলে মানুষ দুজন খুব ভালোভাবেই ঘুমানো যাবার কথা। অথবা, স্বামী স্ত্রীর জন্যে এমন একটি খাট, খুবই উপযোগী। কিন্তু, খালাতো ভাই হিসেবে কয়েকদিনের জন্যে হলেও, এই ঘরে এই খাটে দুই ভাই বোনে ঘুমানো কতটা উপযোগী অনুমান করতে পারলাম না। আমি শুধু ঘরটার চারিদিক চোখ বুলাতে থাকলাম।

থাকার সমস্যা নিয়ে মাঝে মাঝে আমিও ভাবি। বড় বড় শহরগুলোতে পরিবার এর সদস্যদের নিয়ে, ছোট একটা বাসা নিয়ে থাকতে কতটা হিম সিম খায়! সেখানে বাড়তি মেহমান যে কতটা ঝামেলার, তা বোধ হয় আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ছোট খালার বাসাটা এত ছোট জানলে হয়তো, এমন করে সরাসরি চলে আসতাম না। আমার রীতীমতো লজ্জা লাগতে থাকলো। তবে, মুখে কিছু বললাম না।


পনেরো ষোল বছর বয়সের মেয়েরা এমনিতেই খানিকটা চঞ্চল থাকে। মোহনা বোধ হয় আরো বেশী চঞ্চল। সে যেনো তার চমৎকার দেহটাকেই বিভিন্ন ভুমিকা করে আমাকে প্রদর্শন করতে ব্যাস্ত হয়ে পরলো। সে তার দেহটাকে হেলিয়ে দুলিয়ে, নানান রকম অংগ ভংগী করে যেনো বুঝাতে চাইলো, তাকে সবাই ছোট্ট মেয়েটি ভাবলেও, তার দেহে রয়েছে অনেক অহংকারে ভরা বিশাল আয়তনের এক জোড়া বক্ষ। শুধু তাই নয়, সেমিজ আর অতি ছোট্ট হাফপ্যান্টে ঢাকা, দেহের বাকী অতি গোপন অংশগুলোও যেনো প্রকাশ করতে ব্যাস্ত হয়ে পরলো। খুব অল্প সময়ের মাঝেই বন্ধুতের বাধনে আবদ্ধ হয়ে, খুব সহজভাবেই বলতে থাকলো, ভাইয়া,আপনার গায়ে তিল আছে? আমার গায়ে অনেক তিল!
এই বলে সে, গায়ের বিভিন্ন অংশের তিলগুলো দেখাতে থাকলো, খুব আগ্রহ করেই। এমন কি, মেয়েদের সবচেয়ে সুন্দর এলাকা বক্ষ আর পাছাটাও উন্মুক্ত করে দেখিয়ে বলতে থাকলো, এই দেখেন! এখানেও একটা তিল! এখানেও তিল!
মোহনার ভাব সাব দেখে, আমি শুধু বোকাই বনে গেলাম না, দেহের পরতে পরতে, যৌনতার অগ্নিশিখাই শুধু ধাউ ধাউ করে জ্বলে উঠতে থাকলো। অথচ, নিজ ছোট খালার মেয়ে বলেই গোপনে সব সহ্য করে নিতে থাকলাম।

আমার সাথে মোহনার বয়সের ব্যবধান অনেক। ছোট খালার সাথে আমার বয়সের ব্যবধান যেমনি দশ, ঠিক তেমনি মোহনার সাথেও আমার বয়সের ব্যবধান দশ। তাই, মোহনা যতটা সহজভাবে কথা চালিয়ে যেতে পারছিলো, আমি অতটা সহজভাবে কথা চালাতে পারছিলাম না। আর সেজন্যেই, মোহনা যা দেখাচ্ছিলো, আমি তা নীরবেই দেকছিলাম, আর যা বলছিলো, তাও নীরবেই শুনে যাচ্ছিলাম। এতে করে মোহনাও বোধ হয় বিরক্তই হচ্ছিলো। তাই সে হঠাৎই বললো, ভাইয়া, কার্ড গেইম খেলবেন?
আমি অবাক হয়ে বললাম, তুমি তাশ খেলতে পারো নাকি?
মোহনা তার সাদা চমৎকার দাঁতগুলো বেড় করে, খিল খিল করে হাসতে হাসতেই বললো, ঠিক তাশ খেলা নয়! আমার কাছে তাশের কার্ডও নেই। তবে, অন্য রকম কার্ড আছে। কিংগ গেইমস এর কার্ড!
আমি অবাক হয়েই বললাম, কিংগ গেইমস এর কার্ড আবার কেমন?
মোহনা আমাকে বোকা বানিয়ে, খিল খিল হাসিতেই বললো, কিংগ গেইমস জানেন না? ঠিক আছে, শিখিয়ে দিচ্ছি!
এই বলে সে কার্ড গেইমের নির্ধারিত বাক্সটা বেড় করে এনে, মেঝেতেই বসে পরলো। তারপর গেইমের কার্ডগুলো সহ, সরঞ্জাম সব মেঝেতে বিছিয়ে রাখলো। অতঃপর, এক ধরনের কার্ড এর একটা স্তুপ হাতে নিয়ে,দেহটাকে বাঁকিয়ে, মেঝেতে কনুইয়ের উপর ভর করেই কার্ডগুলো এক এক করে সাজাতে থাকলো। আমার চোখ দুটো চলে যাচ্ছিলো মোহনার মেঝের দিকে ঝুলে থাকা টাইট সেমিজ আবৃত বিশাল বক্ষটার দিকেই দিকেই। শুধু তাই নয়, আমি লক্ষ্য করলাম, হাফপ্যান্টের ভাঁজেও, তার নিম্নাংগটা খানিকটা চুপি দিয়ে তাঁকিয়ে আছে আমার দিকেই। মোহনা কার্ড খেলার জন্যে মনোযোগী হলেও, আমার মনোযোগটা কিছুতেই কার্ড খেলার দিকে যেতে চাইলো না।

মোহনা খুব আগ্রহ করেই, কিংগ গেইমস এর খেলাটা আমাকে শিখাতে থাকলো। খুব আহামরী কিংবা মজাদার খেলা বলে মনে হলো না। তবে, কিশোর বয়সে এমনি খেলার কাছাকাছি খেলাতেও আমি মজা পেতাম। এমন কি, সিগারেটের প্যাকেট ছিড়ে, কার্ড বানিয়ে চোর ডাকাত খেলাও খেলতাম অন্য সব বন্ধুদের সাথে। সময় আর বয়সের প্রবাহে বোধ হয় অনেক কিছুই বদলে যায়।
মোহনার গলার স্বর যেমনি মিষ্টি, বর্ণনাও খুব সুন্দর। এমন মিষ্টি গলায়, এত সুন্দর বর্ণনা যে কারোরই মনোযোগ দিয়ে শুনার কথা! অথচ, কেনো যেনো আমার মনোযোগটা মোহনার সুন্দর চেহারায়, চমৎকার ঠোট যুগল সহ, তার সুন্দর, সুদৃশ্য, সুডৌল বক্ষের দিকেই চলে যাচ্ছিলো। তারপরও, মোহনাকে খুশী করার জন্যেই, খানিকটা মনোযোগ দেবার চেষ্টা করলাম।
অবশেষে, খেলা শুরু করলাম। সামনা সামনি দুজন। কার্ড ভাগাভাগি। তারপর, কার্ড ছুড়াছুড়ি! মোহনা আমার সামনা সামনি, ঝুকে বসে, মেঝেতে কনুইয়ের উপর ভর করেই হাতের কার্ড সাজাতে থাকলো। আরআমার চোখ চলে যেতে থাকলো, তার পরনের সেমিজের গলে, ভারী দুটি বক্ষের ভাঁজে। প্যান্টের ভেতর লিঙ্গটা তো অনেক আগেই শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিলো! সেটা যেনো আরো প্রকান্ড রূপই ধারন করতে থাকলো। অথচ, মোহনা খএব সহজভাবেই, হাতের কার্ডগুলো থেকে একটা কার্ড মেঝেতে ছুড়ে ফেলে বললো, প্রিন্সেস!
আমি বললাম, প্রিন্সেস তো বুঝলাম, জেতার উপায় কি?
মোহনা বিরক্তি নিয়েই বললো, বললাম না, একমাত্র গার্ডই পারে প্রিন্সেসকে আটকাতে। গার্ড এর কার্ড থাকলে, এটা আপনার!
আমি বললাম, প্রিন্স থাকলে?
মোহনা বললো, প্রিন্সের চাইতে প্রিন্সেস এর ক্ষমতা বেশী!
আমি অবাক হয়েই বললাম, কেনো?
মোহনা রাগ করেই বললো, এতক্ষণ তাহলে কি শিখালাম? প্রিন্সেস রূপে গুনে সমৃদ্ধ! এত সহজে প্রিন্সকে ধরা দেবে কেনো?
আমি খানিকটা অপ্রস্তুত হয়েই বললাম, ও, বলেছিলে নাকি? স্যরি! স্মরণ রাখতে পারিনি! কিন্তু, প্রিন্সেস কি শুধু রূপে গুনেই সমৃদ্ধ? আর কিছু নেই?
মোহনা সরল মনেই বললো, আর কি থাকবে? মেয়েদের সম্পদ তো এই দুটোই!
আমার মাথাটা সত্যিই কাজ করছিলো না। আমি খানিকটাক্ষণ মোহনার বক্ষের দিকেই ফ্যাল ফ্যাল করে তাঁকিয়ে রইলাম। তারপর বললাম, না মানে রূপ, গুন ছাড়াও তো, মেয়েদের আরো অনেক কিছু থাকতে পারে।সেগুলোর ত্রুটি হলে, ছেলেরাই বা মেয়েদের কাছে ধরা দেবে কেনো?

মেয়েরা বোধ হয় যে কোন বয়সেই ইংগিতের কথাবার্তার কথাগুলো বুঝে ফেলে। শুধু বুঝেই ফেলে না, বরং মাঝে মাঝে একটু বেশীই বুঝে। মোহনা আমার কথাগুলোকে মাটিতেও ফেলতে দিলো না। খেলা বন্ধ করেই, খুব গম্ভীর ভাবেই বললো, আর কি থাকতে পারে?
মোহনা আমার নিজ ছোট খালার মেয়ে হলেও, কখনোই দেখা হয়নি, আলাপ তো দূরের কথা! তার স্বভাব চরিত্রও ভালো জানা নেই। সে কি আমার কথায় রেগে গেলো কিনা তাও বুঝতে পারলাম না। আমি অপ্রস্তুত হয়েই বললাম, না মানে, দেহের গড়নও তো মেয়েদের জন্যে জরুরী। রূপ গুন থাকতেও, দেহের গড়ন যদি সুন্দর না হয়, তাহলে অনেক ছেলেই সেসব মেয়েদের পছন্দ করে না!
মোহনা খানিকটা রাগ করেই বললো, আপনি কি বলতে চাইছেন, আমার দেহের গড়ন খারাপ?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না। চোখের সামনে মোহনার এত চমৎকার দেহ বল্লরী অসুন্দর হবার তো প্রশ্নই আসে না। নিজ খালাতো বোন হিসেবে সুন্দরও বা বলি কি করে? আমি আমতা আমতা করেই বললাম, তোমার কথা আসছে কেনো? কথা তো হচ্ছিলো প্রিন্সেসকে নিয়ে!
মোহনা মন খারাপ করেই বললো, ও, আমার আব্বু কিং নয় বলে, আমাকে প্রিন্সেস মনে হয়না, না?
একি এক সমস্যায় পরলাম। দূরের কেউ হলে হয়তো, তর্ক বিতর্কে যাওয়া যেতো। অথবা, মোহনা যদি বয়সে আমার কাছাকাছিও হতো, তাহলেও হয়তো একটা কথা ছিলো। আমি বললাম, তোমাকে যদি কেউ প্রিন্সেস না বলে, তাহলে তো দুনিয়ার সব প্রিন্সেসদের মাতারীই বলতে হবে!
মোহনা খুব খুশী হয়ে বললো, এখন আর খেলবো না। পরে খেলবো। চলেন, বাইরে যাই।

বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুঝি, অনেক চপলতাও কমে যায়। মোহনার বয়সটা আমিও একটা সময়ে পেরিয়ে এসেছি। মোহনার মতো এতটা চঞ্চল ছিলাম কিনা জানিনা, তবে তারুণ্যের চপলতাগুলো তো আবশ্যই ছিলো। মোহনার কথামতোই, তার সাথেই তাদের উঠানে বেড়োলাম।
ছোট খালাদের বাসাটা যেমনি ছোট, চারিদিক দেয়ালে আবৃত, তাদের বাসার সামনের উঠানটাও ঠিক তেমনি ছোটই। শুধুমাত্র মোহনার বক্ষ দুটিই প্রকাণ্ড বড় বলে মনে হলো। টাইট হাতকাটা সেমিজ আর ছোট্ট হাফপ্যান্ট পরা, সেই প্রকাণ্ড বক্ষের ছোট্ট মেয়ে মোহনা চঞ্চলা হরিনীর মতোই তাদের উঠানে ছুটাছুটি করে করে, তাদের ফুল বাগানটা সহ, এটা সেটা ফলের গাছগুলোও দেখাতে থাকলো। আমিও তার মতো ছোট্টটি হয়ে সমমনা ভাব দেখানোর চেষ্টা করতে থাকলাম। অথচ, কিছুতেই যেনো কিছুই তাল মেলাতে পারছিলাম। থেকে থেকে শুধু তার বক্ষের দিকেই আমার নজরটা চলে যাচ্ছিলো। শুধু তাই নয়, মোহনাদের উঠানে এক কোনায় একটি নারকেল গাছও আছে। সেই নারকেল গাছটায় সদ্য বড় হয়ে উঠা ছোট আকারের ডাবগুলোর সাথে, মোহনার বক্ষের তুলনামূলক একটা বিচারও করতে থাকলাম মনে মনে।
আমি বুঝতে পারলাম না, মোহনার নিজ বক্ষের আয়তনের প্রতি বিন্দুমাত্রও খেয়াল আছে কিনা? তার ভাব সাব দেখে মনে হলো, মেয়েদের বক্ষ তো বাড়বেই! প্রাকৃতিক একটি ব্যাপার! এত সব ভেবে চিন্তে চলার দরকারটাই বা কি? আর তাই বোধ হয় মোহনা, তার টাইট সেমিজটার ভেতর থেকে, পুরোপুরি আকৃতি প্রদর্শন করা বক্ষ গুলো দোলিয়ে দোলিয়ে, পুরু উঠানটাতেই বিচরন করে করে, খুব আগ্রহ করেই এটা সেটা দেখাতে থাকলো। মোহনা কি দেখালো আর কি না দেখালো, সেদিকে আমার মনোযোটা মোটেও ছিলো না। আমি মনোযোগ দিয়ে মোহনার আপাদমস্তক আর তার বক্ষের দোলনগুলোই দেখতে থাকলাম।
মোহনা হঠাৎই বললো, ভাইয়া, লুকুচুরি খেলবেন?
মোহনার কথায় হঠাৎই আমি বোকা বনে গেলাম। এমন একটা বয়সে, বন্ধুদের সাথে আমিও কত লুকুচুরি খেলা খেলেছি। অথচ, সময়ের ব্যবধানে সেসব দিনগুলোর কথাগুলো অনেক আগেই ভুলে গেছি।
পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্যেই তো মানুষ। খুব স্বাভাবিক নিয়মেই বোধ হয় মানুষের মন বদলে যায়, পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেবার জন্যে। মোহনার সাথে কিছুটা সময় কাটিয়ে, আমার মনটাও কেমন যেনো তারুণ্যেই ফিরে যেতে থাকলো। আমি খুব আগ্রহ করেই বললাম, ঠিক আছে, চলো।
মোহনাও খুব খুশী হয়ে বললো, ঠিক আছে, তাহলে আমি প্রথমে লুকাই।

মানুষ যে কোন পরিবেশের সাথেই খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করে ঠিকই। তবে, মানুষের পক্ষে সবকিছুই পারা বোধ হয় খুব সহজ না। মোহনার সাথে থেকে থেকে, আমিও নিজের বয়সটাকে, তার বয়সের কাছাকাছি নিয়ে যেতে চাইলাম ঠিকই, অথচ খুব সহজে তা পারছিলাম না। মানুষ ইচ্ছে করলে অনেক কিছুই করতে পারে। তাই বলে তো আর নিজের বয়সটাকে কমিয়ে ফেলতে পারে না
ছোট খালার বাসাটাই বা কত বড়, সামনে পেছন মিলিয়ে উঠানটাই বা কতটুকুই আর! মোহনা আমাকে চোখ বন্ধ করতে বললো। আমি চোখ বন্ধ করতেই ছুটে গিয়ে কোথায় পালালো, আর কোথায় লুকালো, কিছুই অনুমান করতে পারলাম না। তাই, প্রথমে তাদের বাসার ভেতর গিয়েই ঢুকলাম। তারপর, প্রথমেই ঢুকলাম মোহনার ঘরে।
মোহনার ঘরটাও খুব বেশী বড় নয়। আসবাব পত্র বলতে, পড়ার টেবিল চেয়ার আর এখ খানি খাট। পড়ার টেবিলের নীচে তো আর লুকিয়ে থাকার জায়গা নয়। তাই, খাটের নীচটাই দেখে নিলাম। নাহ, এই ঘরে মোহনা নেই। তারপর, এগিয়ে গেলাম ছোঠ খালার শোবার ঘরেই। ছুটির দিন হলেও, খালা কালু শপিং এ গেছে। তাই ঘরে কেউ নেই। তবে, আসবাবপত্রের খুব একটা কমতি নেই। পুরনো আমলের খাট, আলনা,স্টীলের আলমারী। আমি খাটের তলায়, আলনার কাপরগুলোর ফাঁকে, এমন কি ষ্টীলের আলমারীর দরজাটাও খুলে দেখার চেষ্টা করলাম। নাহ, এই ঘরেও মোহনার কোন অস্তিত্ব খোঁজে পেলাম না। গেলো কোথায়?
আমি পুনরায় বসার ঘরে ফিরে এলাম। মিছে মিছিই সোফার তলা সহ, এখানে সেখানে চোখ বুলিয়ে নিলাম। নাহ, এই ঘরে থাকার প্রশ্নই আসে না। পুনরায় বেড়িয়ে উঠানেই পা রাখলাম। প্রতিটা গাছের আড়ালে একবার করে খোঁজার চেষ্টা করলাম। হঠাৎই মনে হলো, বাসার পেছনের উঠানে নয়তো? আমি বাসটার পাশ দিয়ে, পেছনের উঠানেই এগিয়ে যেতে থাকলাম। খুব সন্তর্পনেই নজ দেহটা দেয়ালের আড়ালে লুকিয়ে চোখ রাখার চেষ্টা করলাম পেছনের উঠানে। আশ্চর্য্য, মোহনা কোন রকম না লুকিয়ে, পেছনের উঠানে, বাসার দেয়ালটা ঘেষে এমনিতেই দাঁড়িয়ে আছে চুপ চাপ! আমি তাকে দেখামাত্রই বললাম, মোহনা চোর!
মোহনা দু হাত তুলে কপালে ঠেকিয়ে, আহলাদী গলাতেই বললো, আহ, আমি এত বোকা?
মোহনা নিজেকে বোকা বললেও, আমার নিজেকেই বোকা মনে হলো। এতক্ষণ কোথায় খোঁজলাম শুধু শুধু। সামনের উঠান থেকে সোজা এখানে চলে এলেই তো পারতাম!

আমার কেনো যেনো মনে হতে থাকলো, লুকুচুরি খেলাটাই তার প্রধান উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্যটা হলো সময় কাটানো। আনন্দ ফূর্তিতে কিছুটা সময় কাটিয়ে দেয়া। আর সেই সাথে, তার দেহের সুন্দর সুন্দর অংশ গুলো আমাকে দেখিয়ে, আত্ম তৃপ্তি পাওয়া।
মোহনার চমৎকার চেহারা, সুন্দর ঠোটের হাসি আর সুদৃশ্য সুডৌল বক্ষ দেখে কম তৃপ্তিই শুধু উপভোগ করছিলাম না। তবে, সবই করছিলাম, লুকুচুরি করে! মোহনার চোখকে ফাঁকি দিয়ে, লুকিয়ে লুকিয়ে, যেনো তার সুন্দর দেহটা আমি উপভোগ করছি, তা যেনো সে মোটেও টের না পায়! আমার এই আচরনটাও বোধ হয় মোহনাকে আহত করছিলো। সে হঠাৎই বললো, আর খেলবো না।
আমি বললাম, কেনো?
মোহনা বললো, আপনাকে খুব রসিক ভেবেছিলাম! কিন্তু, এখন দেখছি, একটা হাবা!
আমি মন খারাপ করার ভান করেই বললাম, তোমার এমন মনে হবার কারন?
মোহনা মন খারাপ করা গলাতেই বললো, আমি বোধ হয় খুব বিশ্রী! আপনার পছন্দের না, তাই না?
আমি চোখ কপালে তুলেই বললাম, বলো কি? তোমার মতো এত্ত সুন্দর মেয়ে পৃথিবীতে কয়টা আছে, বলো তো?
মোহনা এবার খুব আনন্দিত গলাতেই বললো, সত্যিই? তাহলে বলেন তো, আমার কি কি সুন্দর?
আমি বললাম, কেনো? তোমার সুন্দর মিষ্টি চেহারা! সুন্দর ঠোট! আর সেই সুন্দর ঠোটের হাসি!
মোহনা বললো, আর কিছু না?
মোহনা কি তার বক্ষের সৌন্দর্য্যের কথাও জানতে চাইছে নাকি? খুব সহজে কি মেয়েদের তাদের বক্ষের কথা বলা যায় নাকি? আমি আমতা আমতা করেই বললাম, হুম, তোমার বক্ষও খুব সুন্দর!
আমার কথা শুনে মোহনার মনটা যেনো খুব গর্বিতই হয়ে উঠলো। সে গর্বিত গলাতেই বললো, এটা সবাইই বলে! আর?
আমি নিজেও ভাবতে থাকলাম, আর কি বলা যায়? মেয়েদের সুন্দর জায়গা গুলো তো এগুলোই। আমি নিজে নিজেই বিড় বিড় করতে থাকলাম, আর? আর?
মোহনা হঠাৎই তার পাছাটা উঁচিয়ে ধরে, পরনের হাফপ্যান্টটা খানিকটা তুলে, পাছাটা খানিকটা উদোম করে ধরে, খিল খিল হাসিতেই বললো, আমার পাছা?
এই বয়সে মেয়েদের পাছাগুলোও অনেকটা ভারী হয়ে উঠে। মোহনার পাছা যুগল অতটা ভারী নয়। তারপরও আমি মনোযোগ দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম তার পাছাটা। তারপর বললাম, হুম, তোমার পাছাটাও খুব সুন্দর!
মোহনা যেনো হঠাৎই আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠতে থাকলো।

0 comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...