আমি সাধারণত বাসায় খুব কমই থাকি।সেই সকালে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হই এবং আসতে আসতে রাত ১০-১১টা বাজে।বাসায় ফিরেই খেয়েই ঘুম দেই। তাই বাসার সাথে আমার যোগাযোগ এখন খুব কমে গেছে।
বিশ্বকাপ, একুশে ফ্রেবুয়ারী, ধর্মীয় বন্ধ মিলে হঠাৎই সবাই একটা বড় বন্ধ পেয়ে গেল।সবাই মিলে ঠিক করল এই বন্ধে সিলেট যাবে।আমাকেও বলা হলো।কিন্তু হঠাৎ পাওয়া বন্ধটা একটু আলসেমী করে বাসায় কাটাব বলে ঠিক করলাম।কিন্তু সমস্যা দেখা দিল বাসায় আমি একা থাকলে খাবো কি?আমি বললাম বাইরে থেকে খেয়ে নিব।তারপরও আমার মা এবং ভাবী মিলে ঠিক করল এতো বড় কাজের মেয়েকে তো আর একা রেখে যাওয়া যায় না।তাই,আমার বড়ো বোনের বাসায় কাজের মেয়েটা রাতে থাকবে এবং দিনে এসে বাসার সব কাজ করে দিয়ে যাবে। আমার বড়ো বোনের বাসা আমাদের বাসা থেকে খুব কাছেই।যাই হোক, আমি একা বাসায় না থেকে নানা পুরোনো বন্ধুদের খুজে আড্ডায় ব্যাস্ত হলাম।এর মাঝেই কাজের মেয়েটা এসে কাজ করে চলে যায়।আমার ভাত, তরকারী বাড়াই থাকে। আমি শুধু খাওয়ার সময় গরম করে খেয়ে নেই।
একদিন দুপুরে আড্ডা দেওয়ার মতো কোন বন্ধু না পেয়ে বাসায় আসলাম (বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন)।এসে দেখি কাজের মেয়েটা কাজ করছে।আমি এই মেয়েটাকে ঠিক মতো চিনিও না।কেননা, আমি এসে ভাত খেয়েই শুয়ে পড়ি।সকালেও তাড়াহুড়ো করে বের হই।গামেন্টন্স এ চাকরীর সুবাদে বন্ধ বলতে কিছু নেই।তারপরও যদি পেয়ে যাই।বন্ধুদের সাথে আড্ডাতেই সময় চলে যায়।তাই এই মেয়েটাকে আগে থেকে দেখলেও তেমন কথা বর্তা হয়নি। মেয়েটাকে প্রথম যেদিন দেখেছিলাম(আমাদের বাসায় যেদিন আনল),আমার পুরো মনে আছে, সেদিন দেখতে খবিশ এর মতো ছিল।কিন্তু এই কয় মাসে বেশ নাদুশ নুদুশ হয়ে চেহারা ফিরেছে।দেখতে এখন মধ্যবিত্ত ফ্যামেলির মেয়ের মতোই মনে হয়।যাই হোক আমি বাসায় ফিরে আমার রুমে ঢুকে হুমায়ন আহমেদের হিমুর আছে জল বইটি পড়া শুরু করলাম।এমন সময় মেয়েটি আমার রুমে ঢুকল রুম মুছার দেওয়ার জন্য। আমি বই পড়াতে মন দিলাম।কিন্তু ও যেই বালতি থেকে পানি দিয়ে নেকড়া ভিজাতে গিয়ে ঝুকল, আমি মেয়েটির দুধের একটি বড় অংশ দেখে ফেললাম!মেয়েটির বয়স আহে ১৪-১৫।তাই দুধও বেশী বড় না।কিন্তু আমার কছে লোভনিয়!আমার ধন বাবাজী দেখেই হঠাৎ লাফিয়ে উঠল।কিন্তু,আমি হলাম ছদ্দবেশী ভদ্রলোক।তাই যাত্রাতেই ঝাপিয়ে পড়তে পারলাম না।আমি মেয়েটিকে বললাম তুর নাম কি।আমি তো বাসাই থাকি না।তাই তোর নামও জানা হয়নি।বলল, ওর নাম চুমকী!আমি বললাম বাহ তোর নাম তো সুন্দর!সে একটা হাসি দিল। আমি এবার ওর বাড়ীর বিস্তারিত, ভাই, বোন ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় কথা জানতে চাইলাম।সে বেশ ভাল ভাবে বিস্তারিত বলতে থাকলো।কথা বলতে বলতেই আমি ডিভিডিতে এম.এল.এ ফাটাকেষ্ট ছাড়লাম!আসলে ওকে ধরে রাখতে চাইছিল।আমি জানি কাজের মেয়েদের ছবির প্রতি থাকে দারুণ আসক্তি।আর এই ডিভিডি টা অনেক আগেই আমি দেখেছি।যাই হোক ছবি শুরু হতেই ও দেখলাম টিভির দিকে তাকিয়ে আছে।আমি বললাম,এই ছবি দেখেছিস? বলল, না।আমি বললাম তাহলে দেখ।ও বলল, সব রুম এখনও মুছা বাকী।আমি বললাম,ছবি দেখে মুছিস।ও ছবি দেখতে বসে গেল।মেয়েটি আমার বিছানার সামনে বসে ছবি দেখছিল আর আমি বিছানাতে বসে ছিলাম।হঠাৎ আমি লক্ষ্য করলামওর পিঠে মাকড়সার বাসা লেগে আছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment